স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে বড় পদক্ষেপ নিলো রাজ্য সরকার।
ডেস্ক: ২০১৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রকল্প চালু করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর ফলে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করানোর ক্ষেত্রে বড় সুবিধে পেয়ে থাকেন এই রাজ্যের মানুষ। প্রকল্প শুরুর সময়ই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, এর উদ্দেশ্য হল রাজ্যের সমস্ত সাধারণ মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা এবং সরকারি প্রকল্পের আওতায় আনা। সমস্ত বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে ন্যূনতম স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করাও এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য। কিন্তু ইদানীং সরকার স্বাস্থ্যসাথীর বিলে অনিয়মের কিছু অভিযোগ পেয়ে তৎপর হয়েছে।
বিলে অনিয়ম ঠেকাতে এবার নতুন উদ্যোগ নিল স্বাস্থ্য দফতর। কোনও রোগী যদি ১০ দিনের বেশি হাসপাতালে থাকেন, তাহলে তাঁর মেডিক্যাল অডিট হবে। এই মেডিক্যাল অডিটের পরই সরকার বিলের টাকা পাস করবে। যে অপারেশনের জন্য রোগী ভর্তি, শুধু তার টাকাই দেবে রাজ্য সরকার। পরে অন্য কোনও সমস্যা ধরা পড়লে সেই অপারেশনের টাকা দেবে না সরকার।
সূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই সরকারের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছিল। বেশ কিছু বেসরকারি হাসপাতাল নাকি বাড়তি টাকা আদায় করছিল ! তার জেরেই স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে এই নয়া নির্দেশিকা পালন রাজ্য। এবার এই অ়ডিট করে বেনিয়ম ঠেকানো যায় কিনা , সেটাই দেখার।
স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প অনুসারে, এই কার্ড করা থাকলে প্রত্যেক পরিবার সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা পরিষেবার সুযোগ পেয়ে থাকেন। হাসপাতালে ভর্তি হতে হলে চিকিৎসার জন্য আগে থেকে রোগীকে কোনও নগদ টাকা-পয়সা দিতে হবে না। কার্ড দেখিয়ে ভর্তি হতে হবে। তারপর সেই বিল দেওয়ার কথা সরকারের।
হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসার খরচ স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় পড়ে না। রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা করালেই প্রকল্পের সুবিধে নেওয়া যায়। এবার সেই নিয়মে আরও কড়া হল সরকার। যে অপারেশনের জন্য রোগী ভর্তি, শুধু তার টাকাই দেবে রাজ্য সরকার। swasthyasathi.gov.in এ লগ ইন করলে এই প্রকল্প নিয়ে সবরকম তথ্য পাওয়া যাবে।