কেন পালন করা হয় জ্বলন্ত চিতার ভস্ম দিয়ে হোলি?

ডেস্ক: মহাশ্মশানের চিতাভস্ম মেখে হোলি উৎসব পালন করার পিছনে প্রাচীন ধর্মবিশ্বাস আছে।

ভারত বৈচিত্র্যপূর্ণ দেশ। নানা ভাষা-নানা মত-নানা পরিধান। সেখানে উৎসবেও ভিন্নতা থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। সারা দেশেই উৎসাহের সঙ্গে পালিত হয় এই উৎসব। লোকজন একে অপরকে রাঙিয়ে এই দিনটি পালন করেন। কোথাও শুধু আবির, আবার কোথাও ফুলের মাধ্যমে পালিত হয় হোলি।

তবে বারাণসীতে এই হোলি উৎসব একটু আলাদা। এখানে এই উৎসব শুরু হয় রঙ্গবতী একাদশীর দিন থেকে। এর পরের দিন পালিত হয় ‘চিতাভস্ম হোলি’।

বারাণসীতে ‘চিতাভস্ম হোলি’ বহু প্রাচীন প্রথা। মানুষের বিশ্বাস, এভাবে হোলি উৎসব পালন করলে মোক্ষলাভ করা যায়। স্কন্ধ পুরাণ ও প্রাচীন গ্রন্থগুলিতে এই উৎসবের বর্ণনা রয়েছে।

মহাশ্মশানের চিতাভস্ম মেখে হোলি উৎসব পালন করার পিছনে প্রাচীন ধর্মবিশ্বাস আছে। বারাণসীতে এসে অন্যান্য দেবতা, যক্ষদের সঙ্গে হোলি খেলেন প্রভু বিশ্বনাথ।

চিতাভস্ম হোলি’র মধ্যে দিয়েই শুরু হয় হোলি উৎসব। মহাশ্মশান ঘাটে চিতাভষ্ম মেখে উৎসবে মেতে ওঠেন বারাণসী বাসী। মণিকর্ণিকা ঘাটে ভিড় জমান বহু মানুষ। মহাশ্মশাননাথ মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনার পর শুরু হয় ‘চিতাভস্ম হোলি’ উৎসব। সেখানে উপস্থিত হওয়া লোকজন একে অপরকে শ্মশানের চিতাভস্ম ও আবির মাখিয়ে দেন।

কথিত আছে যে, রঙ্গবতী একাদশীর পরের দিন বারাণসীর মণিকর্ণিকা ঘাটে চিতাভস্ম মেখে হোলি খেলতে আসেন স্বয়ং শিব। সেই কারণেই এই দিনটিতে বারাণসীর মণিকর্ণিকা ঘাটে চিতাভস্ম মেখে হোলি উৎসব পালন করার জন্য এত মানুষ ভিড় জমান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *