ভারতের চালু হতে চলেছে মিশ্র ভ্যাকসিন, গবেষণায় সায় দিল কেন্দ্র

ডেস্ক: মিশ্র ভ্যাকসিন দেওয়ার ফলাফল কি হতে পারে এই নিয়ে বহুদিন ধরেই চলছিল গবেষণা। কতটা কার্যকরী হতে পারে? কোনো রকম সাইড ইফেক্ট আছে কি না? এই নিয়েই খতিয়ে দেখার চিন্তা ভাবনা চলছিল।

এবার মিশ্র টিকাকরণ গবেষণার সম্মতি জানাল ভারত। সম্প্রতি আইসিএমআর ও পুণের ন্যাশনাল ইনস্টটিউট অব ভাইরোলজির তরফে একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছিল এককভাবে ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের তুলনায় কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের মিশ্রণই অধিক কার্যকর।

এবং সেই কারনে এই গবেষণায় সবুজ সংকেত দিলো ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া। ডিজিসিআইয়ের (DGCI) অনুমোদন জেলায় বিস্তারিত গবেষণা ও ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করা হবে ভেলোরের খ্রিস্টান মেডিক্যাল কলেজে। তবে আইসিএমআর এর তুলনায় গবেষণাটি একটু ভিন্নভাবে হবে এমনটাই জানা যায়। এই ট্রায়ালের মাধ্যমে দেখা হবে, এক ব্যক্তিকে প্রয়োজনে দুটি আলাদা আলদা টিকার ডোজ দেওয়া যাবে কিনা। আর এই মিশ্র টিকাকরণের কার্যকরিতা ও খুঁটিয়ে দেখা হবে।

কোরোনার ডেল্টা স্টেন বিশ্বব্যাপী এক ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। ভারতেও এর প্রভাব পড়ছে ভয়ঙ্কর ভাবে। তৃতীয় ঢেউ ছাপিয়ে পড়ার বাড়ছে আশঙ্কা। সেই পরিস্থিতিতে গত 29 জুলাই মানবদেহে পরীক্ষামূলক ভাবে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের ককটেল ডোজ প্রয়োগ করার অনুমতি দেয় ডিজিসিআই(DGCI)।

এর আগে আইসিএমআর (ICMR) এর তরফ থেকে করা পরীক্ষায় রিপোর্ট প্রকাশিত হয় কয়েকদিন আগেই। জানা যায়, ভ্যাকসিনের মিলিত প্রয়োগ অনেক বেশি কার্যকরী।

আইসিএমআর (ICMR) এর গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে 11 জন পুরুষ এবং 7 জন মহিলা ছিলেন। গবেষণায় দেখা যায়, অ্যাডিনোভাইরাসের উপর ভিত্তি করে তৈরি দুই ভ্যাকসিনের মিশ্রণ সুরক্ষিত এবং অধিক কার্যকর। কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিনের মতোই এই ভ্যাকসিন মিশ্রণেও সামান্য কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।