“নষ্ট করা হচ্ছে রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তি, চেষ্টা চলছে বাংলাকে অপদস্থ করার”, মানবাধিকার কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রাজ্যের

ডেস্ক: একুশের নির্বাচনী ফলাফল প্রকাশের পরে বড়সড় ধাক্কা পেয়েছিল বঙ্গ বিজেপি। ফল প্রকাশের পরই যেই অগ্রাসন বাংলার বুকে টা অত্যন্ত মর্মান্তিক। কিন্তু এই ঘটনাবলীকে মোক্ষম হাতিয়ার করে হাতে তুলে নিয়েছিল বঙ্গ বিজেপি। ভোটের ফলাফলের পরের দিন থেকেই রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার বাতাবরণ জারি এই অভিযোগে একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ জানিয়েছেন গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা। এমনকি গিয়ে পৌঁছেছিলেন রাষ্ট্রপতি দরবারেও।

দু’মাস ধরে চলে আসা ভোট পরবর্তী হিংসার মামলা নিয়ে হাইকোর্টে চলছে সংঘাত। রাজ্য সরকারের অভিযোগ বাংলাকে অপদস্ত করাই লক্ষ্য। এবং সেই কারণেই ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় ইচ্ছে করেই নেতিবাচক মন্তব্য তুলে ধরেছে মানবাধিকার কমিশন। এবং এই অভিযোগে কমিশন রিপোর্ট হলফনামার জবাব স্বরূপ লেখা হয়েছে।

ঘটনাটির তদন্তে নেমে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। জল বহুদূর গড়িয়ে যাওয়া যায় কমিশনের নামে পাল্টা অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা জারি করেছে রাজ্য সরকার।

রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব মানবাধিকার কমিশনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে ধরেন। রাজ্যের বক্তব্য ভোট পরবর্তী সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে বাংলায় তাতে নিজের ভূমিকা পালন করেছে পুলিশ। নিজেরাই গিয়ে মিটিয়েছে সমস্যা। প্রয়োজনে গ্রহণ করেছে পদক্ষেপও। তবু কমিশনের রিপোর্টে ইচ্ছাকৃতভাবে রাজ্যের বিরুদ্ধে নেতিবাচক মন্তব্য করা হয়েছে। এর কারণ হিসেবে তিনি জানান, মানবাধিকার কমিশনের একাধিক সদস্যের সাথে বিজেপির যোগসূত্র রয়েছে। রাজীব জৈন, আতিফ রশিদ এবং রজুলবেন এল দেশাই এর মত ব্যক্তি বিজেপির একাধিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। সুতরাং তাদের থেকে নিরপেক্ষ তদন্ত আশা করছে না রাজ্য।
রাজ্য পুলিশের ও রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করা হচ্ছে।