বন্ধুত্ব দৃঢ়, বাংলাদেশ সহ চার দেশের সঙ্গে সেনা মহড়ায় ভারত


ডেস্ক: : চিনকে টেক্কা দিয়ে ফের প্রতিবেশি দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার পথে ভারত। সামরিক কূটনীতিতে বেজিংকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেল নয়াদিল্লি। জানা গিয়েছে রবিবার থেকে শুরু হওয়া সেনা বাহিনীর মহড়া অংশ নিয়েছে ভারত। এই মহড়ায় যোগ দিয়েছে আরও চারটি দেশ।

চার প্রতিবেশি দেশের সেনা মহড়া চলবে নয় দিন ধরে, অর্থাৎ চৌঠা এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে মহড়া চলবে ১২ই এপ্রিল পর্যন্ত। বাংলাদেশ এই সেনা মহড়ার আয়োজক দেশ বলে জানা গিয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধের ৫০ বছর উপলক্ষ্যে এই মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ও ভারত ছাড়াও মহড়ায় অংশ নিয়েছে রয়্যাল ভুটান আর্মি ও শ্রীলঙ্কান সেনা। ভারতীয় সেনার ৩০জন অফিসার অংশ নিয়েছেন মহড়ায়। রয়েছেন জুনিয়র কমিশনড অফিসার ও সেনা জওয়ান। এই মহড়ার নাম দেওয়া হয়েছে শান্তির অগ্রসেনা (front runner of peace)।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে এই মহড়ার মূল লক্ষ্য দেশগুলির মধ্যে পারস্পরিক সমন্বয় সাধন করে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মজবুতি সাধন করা। নয়দিনের মহড়ায় যোগ দিতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, তুরস্ক, সৌদি আরব, কুয়েত ও সিঙ্গাপুর।

এদিক,  চিন চাইছে ভারত মহাসাগরে তাঁদের প্রতিপত্তি বিস্তার করতে। আর তার এই আকাঙ্খায় অন্যতম বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে ভারত ও আমেরিকা। এবার এতে যোগ দিল অন্যান্য দেশ। সম্প্রতি যে বিশেষজ্ঞরা জাতীয় সুরক্ষার দিকে নজর রাখছেন, তাঁরা জানিয়েছেন চিনকে পরবর্তীতে জলপথে হুমকি স্বরূপ প্রকাশ পেতে পারে। বিশেষত ভারত মহাসাগর পাশ থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতে পারে চিনা সাবমেরিন বা জাহাজ।

আর তাই চিনকে রুখতে পরিকল্পনাও করে রেখেছে বাহিনী। যুদ্ধ জাহাজের পরিবর্তে এই মুহূর্তে সাবমেরিনকেই অন্যতম পছন্দ বলে জানাচ্ছে ভারতীয় নৌবাহিনী। ভারত মহাসাগরে চিনাদের অনুপ্রবেশ রুখতে এই সাবমেরিনগুলি প্রয়োজন বলে জানানো হয়েছে। পারমাণবিক শক্তি চালিত সাবমেরিনগুলি দীর্ঘ সময় জলের ওপরে না এসেই নীচেই পেট্রোলিং-এর কাজ চালাতে পারে। এমনকি রাডারেও এটিকে নজরে পড়ে না। কোনও ভাবেই এই সাবমেরিনকে সনাক্ত করা যায় না, কারণ এগুলি সমুদ্রের অত্যন্ত গভীরে শান্তভাবে চলাচল করে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *