‘আমি ম্যাজিশিয়ান নই’ বললেন মুখ্যমন্ত্রী

ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে ২ দিনের জঙ্গলমহল সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী । আজ বাঁকুড়ার বলরামপুরে পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনও ভাষণে আগাগোড়া কেন্দ্রকে নিশানা করলেন। তাঁর বক্তব্যে উঠে এল ডিএ প্রসঙ্গও, তুললেন ফের কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন দাবি করেন, বঙ্গে তৃণমূল আমলে, বাঁকুড়া থেকে মাওবাদী আতঙ্ক দূর হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, ‘ কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা সত্ত্বেও ৩ শতাংশ ডিএ দিয়েছি’। গতকালের পুনরাবৃত্তি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ আমি জাদুকরের মত টাকা দিতে পারিনা। ‘ তাঁর কথায়, ‘ টাকা দাও বললেই হঠাৎ গুপী গাইন বাঘা বাইনের মতো মিষ্টি চলে এল, টাকা চলে এল। টাকাটা জোগাড় করতে হয় । কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা সত্ত্বেও ৩% ডিএ আমরা দিয়েছি। ‘ কথায় কথায় টেনে আনেন আদানি ইস্যুও। আদানি গ্রুপের নাম সরাসরি ব্যবহার না করেই তিনি বলেন, ‘ দিল্লির সরকার খাদ্যের টাকা কেটে নিচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকারকে আদার ব্যাপারিকে টাকা দিতে হবে’।

বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ আমরা তো ম্যাজিসিয়ান নই। টাকাটাও জোগাড় করতে হবে। অনেকে বলেন, এটা পেলাম, ওটা দাও। এটা পেলাম, ওটা দাও। আরে যেটা পেলে, সেটাকে ধরে রাখতে গেলে, যে টাকার প্রয়োজন, সেটা কোথা থেকে জোগাড় হবে? কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিচ্ছে না। বঞ্চনা করছে। আর মিথ্যা কথা বলছে। বিজেপির নেতারা গিয়ে বলছে, রাস্তায় টাকা দিও না, জলে টাকা দিও না, বাড়িতে টাকা দিও না, ১০০ দিনের কাজে টাকা দিও না, তাহলে মানুষ উপকৃত হবে। আমি কী করে ভোট চাইব? আমি বলি, তোমাদের লজ্জা থাকা উচিত, তার কারণ এগুলো মানুষের টাকা, এগুলো তোমাদের টাকা নয়। জনগণের ট্যাক্স নিয়ে দিল্লি এই টাকা তুলে নিয়ে যায় ‘

একই সুর শোনা যায় বাঁকুড়ার সভাতেও। এদিনও তিনি বলেন, ‘ ১০০ দিনের কাজের টাকা কেন্দ্রীয় সরকার দিচ্ছে না। আমরা বারবার বলছি দিতে। বিজেপি ইলেকশন আসলে ভোট নেবে। দুটো এমপি ওদের। ম্য়াক্সিমাম এমএলএ ওদের বাঁকুড়া থেকে। কিন্তু কী করেছে বাঁকুড়ার জন্য়? ভোটের সময় আসে। কোকিল যেমন কাকের ঘরে ডিম পাড়ে, বাচ্চা পেড়ে পালিয়ে যায়… ভোটের সময় আসে, ভোটটা নেয় পালিয়ে যায়। ভোটের সময় বলে উজলা দেব, চলে গেলে পালিয়ে যায়। ‘ পঞ্চায়েত ভোটের আগে এভাবেই বাঁকুড়া থেকে কেন্দ্রকে তুলোধনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *