প্রয়াত বাজপেয়ী জমানার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

ডেস্ক: প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং প্রথিতযশা আইনজীবী সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়। বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। বালিগঞ্জে নিজের বাড়িতেই বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু। অটলবিহারী বাজপেয়ীর জমানায় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ছিলেন তিনি। রাজনৈতিক মহলে জলুবাবু নামে পরিচিত ছিলেন তিনি। সত্যব্রত মুখোপাধ্যায় সামলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতির দায়িত্বও।

অটলবিহারী বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভায় ২০০০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০০২ সালের জুন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় রাসায়নিক ও সার মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়। যার পরই ২০০২ সালের জুলাই মাস থেকে ২০০৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাণিজ্য এবং শিল্প মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন তিনি। পাশাপাশি ২০০৮ সালে রাজ্য বিজেপির সপ্তম সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব সামলেছিলেন। পরের বছর রাহুল সিনহা যে পদে বসার আগে পর্যন্ত ছিলেন দায়িত্বে। রাজনৈতিক পরিচিত পাশাপাশি আইনমহলে তাঁর পরিচয়ের ব্যপ্তি ছিল বিস্তৃত।

১৯৩২ সালের ৮ মে অধুনা বাংলাদেশের সিলেটে তাঁর জন্ম। পড়াশোনা করেছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। লন্ডনের প্রখ্যাত দ্য অনারেবল সোসাইটি অফ লিঙ্কন’স ইন থেকে করেছেন বার-ইন-ল। লন্ডনেরই রিজেন্ট স্ট্রিট পলিটেকনিক তথা ইউনিবার্সিটি অফ ওয়েস্টমিনস্টার থেকে সম্পূর্ণ করেছিলেন তাঁর উচ্চশিক্ষা।

প্রথিতযশা আইনজীবী হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি রাজনীতিতে প্রবেশ করেছিলেন তিনি। ১৯৯৯ সালে কৃষ্ণনগর কেন্দ্র থেকে জিতে ১৩ তম লোকসভায় স্থান পেয়েছিলেন। যার আগে কাজ করেছিলেন অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল হিসেবেও। সরাসরি রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পরপরই সাংসদ। তারপর সেখান থেকে অটল বিহারী বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভার বাংলার সদস্য হিসেবে প্রতিমন্ত্রী। দুবার যে দায়িত্ব সামলেছিলেন তিনি। পরে রাজ্য বিজেপির সভাপতির দায়িত্বও সামলেছেন।

১৯৯৯ সালে লোকসভায় কৃষ্ণনগর আসন থেকে জিতলেও তবে ওই কেন্দ্রেই ১৯৯৮, ২০০৪, ২০০৯ এবং ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে প্রার্থী হয়েও জিততে পারেননি তিনি। ২০০৯ ও ২০১৪ সালে প্রবীণ এই বিজেপি নেতাকে হারিয়ে কৃষ্ণনগরের সাংসদ নির্বাচিত হন তৃণমূল প্রার্থী তাপস পাল। বার্ধক্যজনিক কারণে শেষবার সংসদীয় ভোটে হারার পর থেকেই আস্তে আস্তে প্রত্যক্ষ রাজনীতি থেকে দূরে সরে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। তারপর তাঁকে ভোগাতে শুরু করে বার্ধক্যজনিত সমস্যাও। শেষমেশ এদিন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে গভীর শোকের ছায়া রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *