Bengal polls : উন্নয়নের গলায় বিঁধে দ্বন্দ্ব, জাতপাতের কাঁটা
রাজার শহর ছাড়িয়ে সামান্য এগোতেই মেঠো পথ। চৈত্রের হাওয়া বইছে শনশন করে। ধূলিঝড় উঠছে ফাঁকা মাঠে। তার মধ্যেই মাঠ পেরিয়ে ভেসে আসছে স্লোগানের শব্দ। তবে সুর অস্পষ্ট। মাঠের পাশে দাঁড়িয়ে হাওয়ায় হাওয়ায় ধরতেই পারবেন না, এই সুরের মধ্যে কী লুকিয়ে আছে— ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’, ‘জয় শ্রীরাম’, নাকি ‘খেলা হবে’।
কোচবিহারের রাজপাটে এমনই চোরা স্রোত। কথায়, সুরে।
রাজশাসন শেষ হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া প্রত্যন্ত অঞ্চল হিসেবেই পরিচিত কোচবিহার। বেশিরভাগ মানুষ কৃষিজীবী। কল-কারখানা বলতে কিছুই নেই। নেই কৃষিভিত্তিক শিল্পও। তাই বছরভর পরিযায়ী শ্রমিকদের ঢল গ্রাম, শহর, জেলা, রাজ্য পেরিয়ে অন্যত্র যায় কাজের খোঁজে। দেশের এমন কোনও রাজ্য খুঁজে পাওয়া ভার যে শিল্পাঞ্চলে কোচবিহারের মানুষ থাকেন না। দিল্লি-মুম্বই তো বটেই, পড়শি দেশ নেপাল-ভুটানেও অনেকে যান কাজের খোঁজে। এ বারের করোনা কালে সেই মানুষদের দুর্দশার কাহিনি সামনে এসেছে বারে বারে। সঙ্গে ঘুরে ঘুরে এসেছে একটা প্রশ্ন, তা হলে কি রাজ্যে শ্রমিকদের জন্যও কোনও কাজ নেই? কয়েক মাসের মধ্যে ভোট এসে পড়ায় প্রশ্নর জোর বেড়েছে আরও বহু গুণ।