কুমিল্লার দুর্গামণ্ডপে কোরআন রেখেছিল ‘ইকবাল’, প্রকাশ্যে CCTV ফুটেজ

ডেস্ক: 1971 থেকে ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে অগ্রসর হওয়া বাংলাদেশ একধাক্কায় পিছিয়ে গেলো অনেকটা। সংখ্যালঘুদের ওপর নিন্দনীয় অত্যাচার দেখিয়ে দিলো সেক্যুলারিজম এর দেওয়ালের পিছনে থাকা কট্টরপন্থী, ধর্মান্ধ মানসিকতাকে।

এ বছর দুর্গোৎসবে বাংলাদেশের কুমিল্লায় সংখ্যালঘু হিন্দুরা অত্যাচারিত হয় সেখানকার সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম ব্যক্তিদের দ্বারা। অভিযোগ ওঠে দুর্গা মন্ডপে থাকা বজ্রাংবলির কোলে ইসলাম ধর্মগ্রন্থ কোরআন শরিফ রাখা হয়েছে।

কে রেখেছে এই কোরআন মণ্ডপে? কে আসল দোষী এই সবকিছুর পিছনে এসমস্ত বিষয় জানার প্রয়োজন না করেই মণ্ডপ ও প্রতিমা ভাঙচুর করে সেখানকার স্থানীয় মুসলিমরা। শুধু সেখানে না ভাঙচুর হয় বাংলাদেশের একাধিক অস্থায়ী পূজা মণ্ডপ, প্রতিমা এবং বেশ কয়েকটি মন্দির জ্বালানো হয় একদিক হিন্দুদের ঘরবাড়ি, নিহত হয়েছে বেশ কিছু মানুষ।

বাংলাদেশী সরকার প্রথম দিকে কিছু না বললেও বাংলাদেশে থাকা হিন্দুদের প্রতিবাদে তদন্তে সরব হয় প্রশাসন। শেষমেষ বাংলাদেশী পুলিশ শনাক্ত করে ঘটনার আসল কালপ্রিট কে। তার নাম ইকবাল হোসেন। বয়স বছর 35। বাবার নাম নূর আহমেদ আলম। বাড়ি কুমিল্লা নগরের সুজানগর এলাকায়। ইকবাল কে দেখা যায় কোরআন শরিফ হাতে করে নিয়ে গিয়ে গদা নিয়ে ফিরতে। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ইকবাল হোসেনকে চিহ্নিত করা হয়েছে জানায় পুলিশ। চলছে সেই ব্যক্তিকে গ্রেফতারের চেষ্টা।

'Iqbal' kept Quran in Durga Mandap of Comilla

 

সুতরাং জানা যাচ্ছে, ধর্মকে সামনে রেখে অধর্মের কাজে লিপ্ত হচ্ছে সাম্প্রদায়িক ধর্মান্ধ মৌলবাদী গোষ্ঠী। ইতিমধ্যে বাংলাদেশী সংবাদ মাধ্যম সেই ব্যক্তিকে ভবঘুরে, মানসিক ভারসাম্যহীন, মাতাল নানা রকম তকমা দিয়ে ফেলেছে। কিন্তু যেই প্রশ্নটা বার বা উঠছে তা নিয়ে মুখ খুলছে না কেউ। সত্যতা যাচাই না করে ধর্মের নামে যে মরণ খেলা চলেছে বাংলাদেশে তার জন্য আসল দায়ী কে। একটা উন্মাদ মুসলমান ব্যক্তির এই কাজটির শাস্তি এত গুলো নির্দোষ সংখ্যালঘুদের পেতে হলো তার দায় কে নেবে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *