রঙ নয়, লাড্ডু দিয়ে খেলা হয় মথুরায় দোল

ডেস্ক: মথুরা-বৃন্দাবনে রঙের উৎসব শুরু হয় লাঠমার এবং লাড্ডু হোলি দিয়ে। সেখানে গুলাল নয় লাড্ডু ছুড়ে শুরু হয় বসন্ত এর আহ্বান।

খোল দ্বার খোল, লাগল যে দোল’, কবির এই গানই যেন এখন অনুরণিত ব্রজভূমে। সোমবার থেকেই রঙের উৎসবে মেতেছে মথুরা। এই রঙিন উৎসব বিশ্ব বিখ্যাত। একাধিক দেশ-বিদেশ থেকে সকলে ভিড় জমান এই উৎসবে মাতোয়ারা হতে।

বারসানায় রাধারাণীর মন্দিরে লাড্ডু হোলির বিশেষত্বই আলাদা। শ্রীজি মন্দিরে গুলালের বদলে একে অপরের দিকে লাড্ডু ছুড়ে হোলি খেলা শুরু হয়।

কথিত আছে, নন্দগাঁও থেকে বারসানায় এসে এই রঙের উৎসবে মেতেছিলেন স্বয়ং কৃষ্ণ। লাড্ডু হোলির পরদিনই বারসানায় শুরু হয় লাঠমার হোলি।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, রাধা রানীর পিতা বৃষভানু জি শ্রী কৃষ্ণের পিতাকে নন্দগাঁওয়ে হোলি খেলার আমন্ত্রণ জানান। বরসানার গোপীরা হোলির আমন্ত্রণপত্র নিয়ে নন্দগাঁও যান। যা কৃষ্ণের বাবা নন্দবাবা সানন্দে মেনে নেন। আমন্ত্রণ গ্রহণের চিঠিটি একজন পুরোহিতের মাধ্যমে বারসানাকে পাঠানো হয়। লাড্ডু দিয়ে পুরোহিতের মুখ মিষ্টি করা হয়। সেই সময় নন্দগাঁও-এর গোপীরা পুরোহিতের গায়ে গুলাল ছুড়ে দেয়। বদলে হাতে থাকা লাড্ডু গোপীদের দিকে ছুড়ে দেন পুরোহিত। সেই থেকেই এই হোলির সূচনা।

বলা হয়েছে, আগামী ৩ মার্চ, রংভর্ণী একাদশী উপলক্ষে, ঠাকুরজি তার ভক্তদের সঙ্গে বৃন্দাবনের বাঁকে বিহারী মন্দিরে হোলি খেলবেন। সেই সঙ্গে এ উপলক্ষে দেশ-বিদেশের ভক্ত-পর্যটকরাও বৃন্দাবন প্রদক্ষিণ করবেন। সেখানেই থাকবে আবির ও রঙের অঢেল সরঞ্জাম।

ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলবে রঙিন মহোৎসব। পাশাপাশি একাদশীতে মথুরায় শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থানেও খেলা হবে রঙের খেলা।

এরপর ৪ মার্চ গোকূলে ছড়ি বা লাঠমার হোলির আয়োজন করা হবে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ গোকূলে শিশুরূপে ছিলেন, তাই এখানে হত্যা ও অশুভ ঠেকানোর জন্য লাঠি ব্যবহার করা হয়।

এরপর ৭ মার্চ হোলিকা দহন, ১৫ মার্চ রংজি মন্দির বৃন্দাবনে হোলি উৎসব রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *