নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারী ছিল, আছে, আগামী দিনেও থাকবে : শুভেন্দু

হলদিয়া: “গত বছর অবধি যাঁরা আসেননি, আগামী বছর যাঁরা আসবেন না, তাঁরা মাইক বাজাচ্ছেন। যাঁরা ওইদিন গুলি চালিয়েছিল, তাদের দলে নিয়েছে তৃণমূল, অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের পদোন্নতি হয়েছে। শহিদ পরিবারেরে কাছে আমি দায়বদ্ধ।

এদিন শুভেন্দু বলেন, ‘ভোট থাকুক না থাকুক, পদ থাকুক না থাকুক নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারী ছিল, আছে, আগামী দিনেও থাকবে।’ একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘এবার সবাই নিজে ভোট দেবেন, ব্যবস্থা আমি করব। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় নতুন ভোট দেখবেন আপনারা।’

এদিন শুভেন্দু অধিকারী প্রথমে নন্দীগ্রামের অধিকারী পাড়ায় শহীদ বেদিতে মাল্যদান করেন। তারপর তিনি ভাঙ্গাবেড়িয়ায় শহীদ মিনারে মাল্যদান করেন। শুভেন্দুর পাশাপাশি এদিন নন্দীগ্রামে গিয়ে শহীদ শ্রদ্ধা জানায় তৃণমূলও। উপস্থিত ছিলেন ব্রাত্য বসু, দোলা সেন, পূর্নেন্দু বসু, সেখ সুফিয়ান, আবু তাহের সহ ভূমি উচ্ছেদ কমিটির অন্যান্য নেতৃত্বরা

এদিন ব্রাত্য বসু বলেন, ‘শুভেন্দু সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনে ছিলেন। তিনি আসতেই পারেন। কিন্তু সেখানে এসে তিনি মমতাকে নিয়ে নেতিবাচক কথা বলেন, তা তাঁর রাজনৈতিক রুচির পরিচয়। শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করা উচিত।’

সকালে ভাঙাবেড়িয়ায় ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির দুই শিবিরের মধ্যে ব্যাপক হাতাহাতি হয়। শুভেন্দুকে ঢুকতে দিতে নারাজ ছিল তৃণমূল পন্থীরা। বচসা, ধস্তাধস্তিতে পৌঁছে যায় পরিস্থিতি। চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

শেষ পর্যন্ত, গোকুলনগরের অধিকারী পাড়া এবং ভাঙাবেড়িয়া দু’জায়গাতেই মাল্যদান করেন শুভেন্দু অধিকারী। ভাঙাবেড়িয়ায় এসে পৃথকভাবে মাল্যদান করেন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীও।
সবমিলিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যাপক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয় নন্দীগ্রামে। ক্রমশই ২১-এর নির্বাচনে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে নন্দীগ্রাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *