তাহলে বাজারে কি এসে গেছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের প্রতিষেধক?

ডেস্ক: গোটা দেশজুড়ে কোরোনার প্রকোপের মাঝখানে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আতঙ্কের ঝড় বয়ে এনেছে।
যার ফলে বহু মানুষকে নিজেদের দৃষ্টিশক্তি হারাতে হচ্ছে। সাথে মুখের ভিতর ঘা সংক্রমণ প্রভৃতি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

প্রথমে জানা গিয়েছিল যেসব কোরোনা আক্রান্তদের অধিকমাত্রায় স্টেরয়েড দেয়া হচ্ছিল তাদের মধ্যেই এ ব্লাক ফাঙ্গাসের উপসর্গ দেখা গিয়েছিল। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানায় সঠিক ভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় না রাখায় সংক্রমিত হচ্ছে এই ব্লাক ফাঙ্গাস।

সকলের মনে ছড়িয়ে গেছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমনের ভীতি। এই পরিস্থিতির মধ্যে ফার্মা কম্পানি এমএসএন ল্যাবরেটরীতে ইতিমধ্যে তৈরি হয়ে গেছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের প্রতিষেধক। পোসাকোনাজল নামক একটি ঔষধ এমএসএন ল্যাবরেটরী লঞ্চ করেছে।

এইও প্রতিষেধক টি মানুষের প্রাণ বাঁচাতে বহুক্রমে কার্যকরী। বাজারে এই ঔষধটি পোসাভান ব্র্যান্ডের নামে লঞ্চ হবে। যেখানে ১০০mg পোসাকোনাজল ট্যাবলেট ও ৩০০mg ইঞ্জেকশন প্রস্তুত করা হয়েছে।
ট্যাবলেট এর দাম নির্ধারিত হয়েছে দামে ৬০০টাকা। এবং ইনজেকশনের দাম নির্ধারিত হয়েছে ৮৫০০ টাকা।

ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া পক্ষ থেকে এই প্রতিষেধকটি মার্কেটে ছাড়ার সম্মতি দেওয়া হয়েছে।

পরিস্থিতি এখন এই পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে যে যেসব কোরোনা পেশেন্টদের সুস্থ হওয়ার পর বাড়ি পাঠানো হয়েছিল, তাদেরকে পুনরায় হসপিটালে ভর্তি করতে হচ্ছে এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের কারণে। ফলে চিকিৎসা ক্ষেত্রে ও হাসপাতালগুলিতে চাপ বৃদ্ধি হচ্ছে। চিকিৎসকদের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে। আশা রাখা যায় এই আবিষ্কৃত ওষুধটি এ মারণ রোগের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *